পীরগঞ্জে পরকিয়ায় বাধাঁ দেয়ায় স্ত্রীকে হত্যা ঘাতক স্বামী গ্রেফতার ।
অমিতাব বর্মণ,পীরগঞ্জ রংপুর থেকে
রংপুরের পীরগঞ্জে পরকিয়ায় বাধাঁ দেয়ায় এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে স্বাশরোধে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। গত রবিবার রাত্রি আনুমানিক ১০টায় উপজেলার চতরা ইউনিয়নের গোনাচত্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক স্বামী দিপ্তি রহমান (৫০) কে গ্রেফতার করেছে। নিহত গৃহবধূ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের বড় আলমপুর গ্রামের হোসেন আলীর কন্যা। এবং অভিযুক্ত পাষন্ড স্বামী ঘোনা চতরা গ্রামের আলীম মাষ্টারের পুত্র বলে জানাযায়।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দিপ্তি রহমান প্রতিবেশী এক উপজাতি নারীর সহিত পরকিয়ায় লিপ্ত হয়েছে। এ নিয়ে প্রতি নিয়ত স্ত্রী আশুরা বেগমের সাথে বাকবিতন্ডা সহ কঠিন শারীরিক নির্যাতন করত সে। ঘটনার দিনও রাত আনুমানিক ৯টার দিকে উভয়ের মাঝে উচ্চস্বরে বাকবিতন্ডা হয় বলে জানায় গ্রামবাসী। বাকবিতন্ডার কিছুক্ষন পর স্বামী দিপ্তি রহমান চিৎকার করে গ্রামবাসীদের ডাকতে থাকে এবং বলে তার স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গ্রামবাসীরা ছুটে এসে ঘরের কোনে মাটিতে পা স্পর্শ অবস্থায় গলায় দড়িদিয়ে ঘরের বর্গার সাথে ঝুলন্ত লাশ দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেয়। রাত ১০টায় পীরগঞ্জ থানা পুলিশ এসে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার পুর্বক মর্গে প্রেরন করা সহ ঘাতক স্বামী দিপ্তি রহমানকে গ্রেফাতার করে।
নিহতের ভাই ইসমাইল হোসেন জানান- বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আমার ভগ্নিপতির পরকিয়া ইস্যুতে বোনোর সাথে ঝগড়াঝাটি হত। এ নিয়ে বেশ কয়েক বার সালিশও হয়। এ কারনে প্রায় মাঝে মধ্যে আমার বোন রাগ করে এসে আমাদের বাড়ীতে থাকতো। পরকিয়ায় বাধাঁ দেয়ায় আমার বোনকে মেরে ফেলল, আমি ওই পাষন্ড স্বামীর কঠিন শাস্তি চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পীরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ সরেস চন্দ্র বলেন- এ ঘটনায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি সন্দেহ জনক বলেই স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই পুরো বিষয়টি পরিস্কার হবে। গত সোমবার বেলা ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের ভাই ইসমাইল হোসেনকে বাদী করে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।